‘ফসলের ভালো দাম পাওয়া যেতো না, ফলানোর সময় বেশি লাগাসহ বিভিন্ন কারণে আউশের আবাদ করতাম না। এ বছর সরকার আউশ ধানের আবাদের প্রণোদনা দেয়ায় ও কৃষি কর্মকর্তাদের অনুরোধে রাজি হই। ফলন ভালো হওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ কথাগুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিলের কৃষক মো. আবুল কাশেম। এ বছর তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে আউশের আবাদ করেন।
প্রায় ২৪ মণ ধান পেয়ে তিনি খুশি। জানালেন, আশেপাশের আরো কয়েকজন কৃষকেরও আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার বিজয়নগরে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার বেশি আউশের চাষ হয়। ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও শেষ পর্যন্ত এক হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়। ফলনও হয়েছে ভালো। এর মধ্যে সিঙ্গারবিল ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো আউশের আবাদ হয়।
বিষ্ণুপুরে ৩০ হেক্টর ও সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আউশ ধানের আবাদ নিয়ে তাঁরা বিভ্রান্তিতে ছিলেন। তাঁরা মনে করতেন আউশ ধানের ফলন পেতে সময় বেশি লাগে। যে কারণে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করা সম্ভব হতো না। এছাড়া আউশ ধানের দামও ভালো পাওয়া যেত না। এ বছর সরকারিভাবে আউশ ধানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রণোদনা দেয়ায় ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা উৎসাহিত করায় এ বছর আবাদ করেন।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. হাদিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার দায়িত্ব এলাকা সিঙ্গারবিলে প্রথমবারের মতো আউশ ধানের আবাদ হয়। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। অনেকেই ইতোমধ্যেই ধান ঘরে তুলেছেন। সরকার প্রণোদনা দিলে সেটা আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি বলে সফল হয়েছি। আগামীতে আউশের আরো বেশি আবাদ হবে বলে আশা করি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।